দ্য রিভিউ চেইন


আর্ট চেইন ইন্ডিয়া︎


ভারতে, সবধরনের মাধ্যমে কাজ করা দৃশ্যকলা শিল্পী/ ভিজ্যুয়াল আর্টিস্টদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক পিয়ার-সাপোর্ট আন্দোলন।


#ArtChainIndia︎ এ উপলব্ধ কাজগুলি দেখুন 


সুযোগের জন্য আবেদন পদ্ধতি: কীভাবে শুরু করবেন



শিল্পচর্চার জন্য আজকের দিনে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ ও উপায় আছে। এত সুযোগ থাকায় এর মধ্যে কোনগুলির ওপরে আপনি মনোনিবেশ করবেন, তা ঠিক করা মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে পড়ে।


সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে এরকম কিছু পরামর্শ এখানে দেওয়া হলো:


নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “আমার শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে আমি এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে?”

  • আপনার কি অনুপ্রেরণার জন্য মতামত ও উদ্দীপনার প্রয়োজন, না কি ভাবার জন্য শান্ত নির্জনতার প্রয়োজন?
  • আপনার কি কোনো পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে আছে এবং সেটি বাস্তবায়িত করার জন্য অর্থের প্রয়োজন?
  • আপনি কি গবেষণা করছেন এবং তা পরিচালনার জন্য সাহায্য প্রয়োজন?
  • সুযোগটির যোগ্যতার মানদণ্ডগুলি কী কী এবং আপনি কি তা পূরণ করেন?
  • কাজ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ কত? আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি কি সেই সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে?
  • এই সুযোগের থিমভিত্তিক ফোকাস বা অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করার জন্য আপনি আপনার প্রজেক্ট বা পরিকল্পনার কতটা পরিবর্তন করছেন বা কতটা সমঝোতা করছেন?


এটি করার পরে, খেয়াল রাখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশিকা এখানে দেওয়া হলো:

আপনার আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া জিনিসগুলি যেন আপনার ও আপনার শিল্পচর্চার সমগ্র চিত্রটি তুলে ধরে। অনুদানকারীরা আপনার আবেদনের মাধ্যমে আপনার প্রজেক্ট, তার উপাদান এবং আর্থিক প্রয়োজনীয়তা, টাইমলাইন, ডেলিভারেবলস (অন্তিমে যা যা কিছু জমা দিতে হবে), আপনার শৈল্পিক সফর এবং এই প্রজেক্টের জন্য আপনার অনুপ্রেরণার বিষয়গুলি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইবেন।

১. আবেদন করার আগে ভালভাবে প্রস্তুতি নিন।

আবেদনের করার আগে আবেদনের নির্দেশাবলী বিশদে পড়ুন। সুযোগটি সম্বন্ধে শুধুমাত্র ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেওয়া তথ্য পড়বেন না। আর্ট চেন ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে যান ও সব তথ্য বিশদে পড়ুন। আপনাকে কী কী জমা দিতে হবে তা এখানে নির্দিষ্টভাবে লেখা থাকে। এফএকিউ-তে থাকা তথ্য-সহ অন্যান্য সকল তথ্য যত্ন সহকারে সকল পড়ুন।

এখনো যদি কোনো বিষয় স্পষ্ট না হয়ে থাকে, সংশয় মেটানোর জন্য সংস্থার কাছে আপনার প্রশ্নগুলি লিখে পাঠান।


২. সংস্থাকে বুঝুন।

প্রত্যেক সংস্থারই কোনো না কোনো মিশন স্টেটমেন্ট থাকে বা তারা কোনো নির্দিষ্ট ধরনের কাজের জন্য অর্থ দিয়ে থাকে। আবেদন করার আগে আপনি যে সংস্থাটির আগ্রহ ও কাজের ক্ষেত্রগুলি জানুন এবং তা বোঝার চেষ্টা করুন।

তাদের অতীতের প্রজেক্ট ও অন্যান্য যে সকল কর্মসূচিকে তারা সমর্থন করেছেন, তা দেখুন।

আপনি যদি খুব চ্যালেঞ্জিং বা দুরূহ গ্রান্টের জন্য আবেদন করবেন বলে ভাবেন, তাহলে আবেদন করার আগে অতীতে সেই সব গ্রান্টের সফল বা পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। আপনি সংস্থাটির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে পারেন অথবা গ্রান্ট পাওয়া ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারেন।


৩. আগে থেকে আবেদন করার বিষয়ে বিশদে অধ্যয়ন করুন।

যে ফরম্যাটে আপনাকে আবেদন জমা দিতে হবে তা ভালো করে অধ্যয়ন করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন ফর্মের ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকে আবেদনটি ডাউনলোড করে নিন যাতে শেষ মুহূর্তে আপনাকে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যায় না পড়তে হয়।

আপনার সিভি, রেজ্যুমে, আর্টিস্ট স্টেটমেন্ট ও পোর্টফোলিওর জন্য আলাদা আলাদা ডক্যুমেন্ট তৈরি করুন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনাকে প্রজেক্ট প্রোপোজাল/প্রজেক্টের প্রস্তাবনা ও বাজেট সম্পর্কে লিখতে হতে পারে বা সুপারিশ চিঠি প্রয়োজন হতে পারে; বিশেষত যদি আপনি যদি গ্রান্ট বা প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেন।

কেউ কেউ সকল তথ্য একটি পিডিএফ-এর ফরম্যাটে জমা দিতে বলতে পারেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য তারা যেভাবে চেয়েছেন সেই ক্রম অনুসারে পিডিএফ ফরম্যাটে জমা দিন।


৪. আপনার সব ফাইল নামাঙ্কিত করুন

আপনার আবেদনপত্রের উপস্থাপনার সূক্ষ্ম দিকগুলির প্রতি নজর দেওয়া জরুরি। আপনার সকল ফাইল নিম্নলিখিতভাবে নামাঙ্কিত করুন;
সুযোগের নাম (যার জন্য আপনি আবেদন করছেন)_পদবী-সহ আপনার নাম _ফাইলের নাম (সিভি, রেজ্যুমে, আর্টিস্ট স্টেটমেন্ট, পোর্টফোলিও ইত্যাদি)_বছর_
(উদাহরণ স্বরূপ: ডাচআর্টরেসিডেন্সি_জন ডো_পোর্টফোলিও_২০২০)। আবেদনের পর্যালোচকরা একই সঙ্গে অনেক আবেদনকারীর তথ্য ডাউনলোড করেন। এই জাতীয় নামাঙ্কনের সাহায্যে ফাইলগুলি গুছিয়ে রাখা তাঁদের কাছে সহজ সাধ্য হয়।


৫. মতামত চান!

কোনো বিশ্বাসী বন্ধু, সহশিল্পী বা মেন্টর/পরামর্শদাতার মতামত জানতে চাওয়া ভালো। তারা যেহেতু আপনাকে ও আপনার কাজ সম্বন্ধে জানেন, তাঁরা এই আবেদনপত্রটি আদৌ আপনার শিল্পচর্চাকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে কি না তা বলতে পারবেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁরা আপনার শিল্পচর্চার উদ্দেশ্যকে সবথেকে ভালো ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য আবেদনপত্রের যে জায়গাগুলি পুনঃসম্পাদনা করার প্রয়োজন আছে তা সহজেই সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।

বেশি সংখ্যক লোকের থেকে মতামত চাইবেন না, তাহলে আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন; বিশেষত আপনি যদি পরস্পরবিরোধী পরামর্শ পান।  


৬. জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার অনেক আগেই আপনার আবেদন জমা দিন।

পরিবর্তিত ও সংশোধিত আবেদনপত্র প্রস্তুত হয়ে গেলে শেষবারের মতো একবার বানান ও ব্যাকরণ দেখে নিন (আপনার কোনো বন্ধু যদি এই কাজে পারদর্শী হন, তার সাহায্য নিন) এবং সময়সীমা শেষ হওয়ার অনেক আগেই জমা দিয়ে দিন।
এর ফলে কোনো প্রযুক্তিগত বা অন্য সমস্যা দেখা দিলে তা আপনি সহজেই সামলাতে পারবেন। আপনি যদি আবেদনটি ইমেলের মাধ্যমে জমা দেন, তাহলে সংস্থার কাছ থেকে আপনার আবেদনপত্রটি পাওয়ার নিশ্চয়তাসূচক ইমেল চাইতে পারেন।
আপনি যদি অনলাইন আবেদনপত্র জমা দেন, তাহলে অবশ্যই নিজের জন্য একটি প্রতিলিপি সেভ করে রাখুন। বেশিরভাগ পোর্টালেই এই অপশন দেওয়া থাকে। প্রতিলিপি সেভ করার অপশন খুঁজে না পেলে আবেদনপত্রের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন!  


৭. জমা দিয়ে দেওয়ার পরে।

আরাম করুন, বিরতি নিন – আপনি কোনোরকম খামতি রাখেননি।

আপনার আবেদন যদি স্বীকৃত হয়, খুবই ভালো; এখনো অনেক কাজ বাকি আছে! যদি প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে আশাহত হয়ে পড়বেন না। এই সুযোগটি হয়তো আপনার জন্য আদর্শ ছিল না। উভয় ক্ষেত্রেই আরো অনেক কাজ করতে হবে।

এই সব সুযোগ দেওয়া কোনো কোনো সংস্থার কাছে শিল্পীরা তাঁদের আবেদনপত্রকে কীভাবে আরো উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে খোলাখুলি মতামত চাইতে পারেন । মনে রাখবেন, আজকের দিনে শিল্পীদের জন্য এরকম নানা সুযোগ ও রাস্তা আছে। কাজেই আপনার জন্য যেটি আদর্শ সেটি আপনি ঠিকই খুঁজে পাবেন, হাল ছেড়ে দেবেন না!

শীঘ্রই আমরাও ভারতে শিল্পীদের জন্য বড় সুযোগগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করব, সে দিকে নজর রাখুন।



বেশিরভাগ কাজের সুযোগে আবেদন করার জন্য কী কী জিনিস চাওয়া হয়?

বেশিরভাগ আবেদনই আপনার কাছে এগুলি চাইবে